সিটিজি ভয়েস টিভি ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ না আদায় করতে বলেছে সরকার। এ ব্যপারে সরকার কিছু নির্দেশনাও দিয়ে দেয়।
কিন্তু গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিটির মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কোনো বাধা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, তার (মেয়রের) এমন ঘোষণাকে আমরা চরম বিরোধী হিসেবে দেখছি। অত্যন্ত কঠিনভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা। তাকে বার্তা দেয়া হয়েছে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে ওই ঘোষণা প্রত্যাহার করে সরকার যেভাবে চায় সেভাবে ঘোষণা দিতে। মনে হয় সেটা তিনি দিচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ স্থানীয় সব নেতা মেয়রের এই ঘোষণার বিপক্ষে। স্থানীয়ভাবে মাইকিং হচ্ছে, এমন ঘোষণা দেয়ার কোনো এখতিয়ার মেয়রের নেই, এই ঘোষণায় কান দেবেন না।
শেখ আবদুল্লাহ আরও বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর তার ঘোষণা প্রত্যাহারে কিছুটা সময় চেয়েছেন। সেই সময় পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি। প্রত্যাহার না করলে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজার আঞ্চলিক অফিস থেকে এক ভিডিও বার্তায় মেয়র মুসল্লিদের জন্য মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর জেলা এই দুটি এলাকাকে নিয়েই গাজীপুর বলা হয়। সেজন্য আমরা বলছি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভের সংখ্যা অনেক এলাকার চেয়ে কম বলে আমরা মনে করি। এটা আমরা নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি। সেজন্য আমরা মনে করি যেহেতু গার্মেন্ট চালু করে দিয়েছে বিজিএমইএ, সেহেতু আমাদের যেসব ওয়ার্ডে কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই সেগুলোতে আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদভিত্তিক মানুষ তারাবিসহ জুমার নামাজ পড়তে পারবেন।
যেহুতো গার্মেন্টস চালু হয়েছে। সেহুতো আল্লাহ্র ঘর মসজিদ চালু থাকা দরকার। ঈমানদার মানুষ যারা আছেন তারা সকলেই নামাজ পড়েন। আল্লাহ্র কাছে দোয়া করা আমাদের প্রয়োজন, আল্লাহ্ই আমাদের হেফাজত করবেন।
এখন রমজান মাস। তাই এসব এলাকায় মুসল্লিরা যাতে মসজিদে নামাজ পড়তে পারেন সেজন্য আমরা সিটি করপোরেশন থেকে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। সবাই যেন আল্লাহ্র কাছে চাই করোনা ভাইরাস থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশ এবং বিশ্ববাসী যেন নিরাপদে থাকে।